হেমাটোলজি হলো চিকিৎসাবিজ্ঞানের একটি শাখা যা রক্ত, রক্ত তৈরির অঙ্গ, এবং রক্তজনিত রোগ নিয়ে গবেষণা করে। এটি অ্যানিমিয়া, লিউকেমিয়া, হিমোফিলিয়া এবং অন্যান্য রক্তজনিত সমস্যার কারণ ও চিকিৎসা সম্পর্কিত।

হেপাটোলজি হলো লিভার, পিত্তথলি, এবং অগ্ন্যাশয়ের বিভিন্ন রোগ এবং তাদের কার্যকারিতা নিয়ে গবেষণা করে। এটি হেপাটাইটিস, ফ্যাটি লিভার, সিরোসিস এবং লিভার ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

মাইকোলজি হলো ছত্রাক বা ফাঙ্গাস নিয়ে গবেষণা করে, যা পরিবেশ, কৃষি এবং চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি ছত্রাকজনিত রোগ যেমন ক্যান্ডিডিয়াসিস, ডার্মাটোফাইটোসিস ও অন্যান্য ফাঙ্গাল সংক্রমণের কারণ ও প্রতিকার নিয়ে কাজ করে।

ফাইকোলজি হলো শৈবাল বা অ্যালগির বৈজ্ঞানিক গবেষণা যা জলজ বাস্তুসংস্থান এবং খাদ্যশৃঙ্খলে গুরুত্বপূর্ণ। এটি বায়োফুয়েল উৎপাদন, জৈব সার এবং জলজ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য গবেষণা করে।

ভাইরোলজি হলো ভাইরাসের গঠন, কার্যপ্রণালী এবং ভাইরাসজনিত রোগ নিয়ে গবেষণা করে। এটি ইবোলা, ইনফ্লুয়েঞ্জা, কোভিড-১৯ এবং অন্যান্য ভাইরাসবাহিত রোগের প্রতিরোধ ও চিকিৎসা নিয়ে কাজ করে।

নেফ্রোলজি হলো কিডনির কার্যকারিতা, কিডনি রোগ এবং ডায়ালাইসিস ও ট্রান্সপ্লান্ট সংক্রান্ত গবেষণা করে। এটি কিডনি ফেইলিউর, কিডনি স্টোন, এবং উচ্চ রক্তচাপজনিত কিডনি সমস্যার প্রতিরোধে সহায়ক।

অঙ্কোলজি হলো ক্যান্সারের কারণ, গঠন, বিস্তার এবং এর চিকিৎসা নিয়ে গবেষণা করে। এটি কেমোথেরাপি, রেডিয়েশন থেরাপি এবং ইমিউনোথেরাপির মাধ্যমে ক্যান্সার নিরাময়ের পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে।

কসমোলজি হলো মহাবিশ্বের সৃষ্টি, বিকাশ এবং তার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে গবেষণা করে। এটি বিগ ব্যাং থিওরি, ব্ল্যাক হোল, ডার্ক ম্যাটার এবং মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ নিয়ে কাজ করে।

পোমোলজি হলো ফলের বংশবৃদ্ধি, চাষাবাদ, সংরক্ষণ এবং বাণিজ্যিক উৎপাদন নিয়ে গবেষণা করে। এটি আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার করে উন্নত মানের ফল উৎপাদন এবং রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।

অর্নিথোলজি হলো পাখির জীবনধারা, অভিবাসন, আচরণ এবং সংরক্ষণ সংক্রান্ত গবেষণা করে। এটি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ এবং বাস্তুসংস্থানের ভারসাম্য রক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

অস্টিওলজি হলো মানুষের এবং প্রাণীর হাড়ের গঠন, কার্যকারিতা ও রোগ নিয়ে গবেষণা করে। এটি অস্টিওপোরোসিস, হাড় ভঙ্গুরতা এবং হাড় প্রতিস্থাপনের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

ওওলজি হলো পাখির ডিম, বাসা তৈরি এবং ডিমের গঠন সম্পর্কে গবেষণা করে। এটি পাখির প্রজনন প্রক্রিয়া ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

ওনাইরোলজি হলো মানুষের স্বপ্ন কেন হয়, তাদের ব্যাখ্যা ও স্বপ্নের মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ নিয়ে গবেষণা করে। এটি ঘুমের মধ্যে মস্তিষ্কের কার্যপ্রণালী এবং স্বপ্নের অর্থ নির্ণয় করার জন্য ব্যবহৃত হয়।

ট্রাইকোলজি হলো চুলের বৃদ্ধি, চুল পড়ার কারণ, স্ক্যাল্পের বিভিন্ন সমস্যা এবং চুলের যত্ন সংক্রান্ত গবেষণা করে। এটি খুশকি, টাক পড়া এবং স্ক্যাল্পের সংক্রমণের চিকিৎসার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

অপথালমোলজি হলো চোখের গঠন, দৃষ্টিশক্তি, চোখের রোগ ও চিকিৎসা নিয়ে গবেষণা করে। এটি চোখের সংক্রমণ, গ্লুকোমা, ছানি অপারেশন এবং লেজার ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে চোখের সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে।

প্যাথোলজি হলো শরীরের বিভিন্ন রোগের কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার নিয়ে গবেষণা। এটি জীবাণু সংক্রমণ, টিউমার, দেহের টিস্যু বিশ্লেষণ এবং রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

ব্যাকটেরিওলজি হলো ব্যাকটেরিয়ার গঠন, বৃদ্ধির প্রক্রিয়া ও মানব দেহে এদের প্রভাব নিয়ে গবেষণা। এটি সংক্রমণ প্রতিরোধ, অ্যান্টিবায়োটিক উন্নয়ন এবং খাদ্যে ব্যাকটেরিয়ার ভূমিকা বুঝতে সহায়ক।

মাইক্রোবায়োলজি হলো অণুজীব (ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক ও প্রোটোজোয়া) নিয়ে গবেষণা। এটি ঔষধ প্রস্তুতি, রোগ প্রতিরোধ, এবং খাদ্য ও পরিবেশগত জীববিজ্ঞান নিয়ে কাজ করে।

প্যারাসাইটোলজি হলো পরজীবী জীব ও তাদের হোস্টের উপর প্রভাব নিয়ে গবেষণা। এটি ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়াসিস এবং অন্যান্য পরজীবীজনিত সংক্রমণের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।

জেনেটিক্স হলো বংশগতি, ডিএনএ, এবং জীবদের জেনেটিক পরিবর্তন নিয়ে গবেষণা। এটি মানুষের জিনগত রোগ, বংশগত বৈশিষ্ট্য এবং ক্লোনিং ও জিন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ।

এমব্রায়োলজি হলো ভ্রূণের বিকাশ ও বৃদ্ধি নিয়ে গবেষণা। এটি মানব ভ্রূণের গঠন, বিকাশজনিত সমস্যা ও জেনেটিক ত্রুটির কারণ বুঝতে সহায়তা করে।

অ্যানাটমি হলো মানব দেহের গঠন, হাড়, পেশী ও অভ্যন্তরীণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিয়ে গবেষণা। এটি চিকিৎসাশাস্ত্রে শারীরিক কাঠামোর বিশ্লেষণ ও অস্ত্রোপচারে গুরুত্বপূর্ণ।

ফিজিওলজি হলো জীবদেহের স্বাভাবিক কার্যপ্রণালী, যেমন শ্বাস-প্রশ্বাস, পরিপাক ও রক্তচলাচল নিয়ে গবেষণা। এটি দেহের অঙ্গগুলোর কিভাবে কাজ করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কীভাবে কাজ করে তা বুঝতে সহায়ক।

এন্ডোক্রিনোলজি হলো দেহের হরমোন উৎপাদনকারী গ্রন্থি ও তাদের কাজ নিয়ে গবেষণা। এটি ডায়াবেটিস, থাইরয়েড সমস্যা ও হরমোনজনিত রোগ নিরাময়ে সহায়ক।

ইমিউনোলজি হলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও প্রতিরোধী কোষগুলোর কার্যপ্রণালী নিয়ে গবেষণা। এটি ভ্যাকসিন তৈরিতে এবং সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য ব্যবহৃত হয়।

টক্সিকোলজি হলো বিষাক্ত পদার্থ এবং মানবদেহে এর প্রভাব সম্পর্কে গবেষণা। এটি খাদ্য নিরাপত্তা, ওষুধ বিষক্রিয়া ও পরিবেশগত বিষাক্ত উপাদান শনাক্ত করতে সাহায্য করে।

ডার্মাটোলজি হলো ত্বক, চুল, নখ এবং ত্বকের রোগ নিয়ে গবেষণা। এটি ব্রণ, এলার্জি, একজিমা ও ত্বকের ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়।

কার্ডিওলজি হলো হৃদযন্ত্র ও রক্তনালীর রোগ এবং চিকিৎসা নিয়ে গবেষণা। এটি হার্ট অ্যাটাক, উচ্চ রক্তচাপ, এবং স্ট্রোক প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ।

গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি হলো খাদ্যনালী, পাকস্থলী ও অন্ত্রের কার্যকারিতা এবং বিভিন্ন রোগ নিয়ে গবেষণা। এটি গ্যাসট্রিক, পেপটিক আলসার, ফ্যাটি লিভার ও হেপাটাইটিস রোগ নির্ণয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

রিউমাটোলজি হলো অস্থিসন্ধি ও বাত-সম্পর্কিত রোগ এবং চিকিৎসা নিয়ে গবেষণা। এটি আর্থ্রাইটিস, লুপাস ও অন্যান্য প্রদাহজনিত রোগ নিরাময়ে গুরুত্বপূর্ণ।

ফরেনসিক বিজ্ঞান হলো অপরাধ তদন্ত ও আইনগত উদ্দেশ্যে বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণের ব্যবহার। এটি ডিএনএ বিশ্লেষণ, আঙুলের ছাপ শনাক্তকরণ, এবং ময়নাতদন্তের মাধ্যমে অপরাধ সমাধানে সহায়তা করে।

ইকোলজি হলো জীব ও তাদের পরিবেশের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে গবেষণা। এটি জলবায়ু পরিবর্তন, বাস্তুসংস্থান সংরক্ষণ ও প্রাণীর আবাসস্থল রক্ষার জন্য ব্যবহৃত হয়।

বায়োকেমিস্ট্রি হলো জীবদেহে রাসায়নিক প্রক্রিয়া ও উপাদানগুলোর কাজ নিয়ে গবেষণা। এটি এনজাইম, প্রোটিন, শর্করা, চর্বি ও কোষের বিপাকীয় ক্রিয়া বিশ্লেষণে ব্যবহৃত হয়।

বায়োটেকনোলজি হলো জীববিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সমন্বয়ে নতুন ওষুধ, ফসল ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা। এটি জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, টিস্যু কালচার, ও ভ্যাকসিন উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়।

এনটোমোলজি হলো কীটপতঙ্গের শ্রেণিবিন্যাস, আচরণ ও পরিবেশগত ভূমিকা নিয়ে গবেষণা। এটি কৃষি, রোগ বাহিত পতঙ্গ (যেমন মশা) ও পরিবেশ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ।

জুওলজি হলো প্রাণীদের শ্রেণিবিন্যাস, শারীরিক গঠন, আচরণ ও বিবর্তন নিয়ে গবেষণা। এটি প্রাণীর বাস্তুসংস্থান সংরক্ষণ, প্রাণী চিকিৎসা ও প্রাণীবিজ্ঞান গবেষণায় ব্যবহৃত হয়।

বোটানি হলো উদ্ভিদের গঠন, বৃদ্ধি, রোগ ও পরিবেশগত ভূমিকা নিয়ে গবেষণা। এটি কৃষি, পরিবেশ সংরক্ষণ, এবং ঔষধি উদ্ভিদের চাষে গুরুত্বপূর্ণ।

মেরিন বায়োলজি হলো মহাসাগর ও সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য, মাছ ও সামুদ্রিক বাস্তুসংস্থান নিয়ে গবেষণা। এটি সামুদ্রিক সম্পদের সংরক্ষণ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্লেষণে ব্যবহৃত হয়।

হাইড্রোলজি হলো ভূগর্ভস্থ ও পৃষ্ঠস্থ পানির গঠন, গতিবিধি ও সংরক্ষণ নিয়ে গবেষণা। এটি খরা, বন্যা ও জলবায়ু পরিবর্তনের গবেষণায় ব্যবহৃত হয়।

মেটিওরোলজি হলো আবহাওয়া, জলবায়ু পরিবর্তন ও মৌসুমী বায়ু নিয়ে গবেষণা। এটি ঝড়, টর্নেডো, মৌসুমী বৃষ্টি ও আবহাওয়া পূর্বাভাস তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

সিসমোলজি হলো ভূমিকম্পের কারণ, তরঙ্গ বিশ্লেষণ ও ভূমিকম্প প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়ে গবেষণা। এটি ভূতাত্ত্বিক গবেষণা ও ভূমিকম্প প্রতিরোধমূলক নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত হয়।

জিওলজি হলো পৃথিবীর গঠন, শিলা, খনিজ ও প্রাকৃতিক সম্পদ নিয়ে গবেষণা। এটি খনিজ সম্পদ আহরণ, ভূমিকম্প বিশ্লেষণ ও পরিবেশ সংরক্ষণে ব্যবহৃত হয়।

অ্যাস্ট্রোনমি হলো মহাকাশ, গ্রহ, নক্ষত্র, গ্যালাক্সি ও মহাজাগতিক বস্তুর বৈজ্ঞানিক গবেষণা। এটি মহাবিশ্বের গঠন, ব্ল্যাক হোল ও গ্রহ অনুসন্ধানে ব্যবহৃত হয়।

অ্যাস্ট্রোফিজিক্স হলো মহাকাশের ভৌত গঠন, শক্তি ও মহাজাগতিক বিকিরণ নিয়ে গবেষণা। এটি মহাজাগতিক বস্তুর গঠন, বিগ ব্যাং থিওরি ও মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ বিশ্লেষণে ব্যবহৃত হয়।

কোয়ান্টাম ফিজিক্স হলো পরমাণু ও উপপরমাণুক কণার আচরণ, শক্তি বিনিময় ও তরঙ্গ কণা দ্বৈততা নিয়ে গবেষণা। এটি আধুনিক প্রযুক্তি, লেজার, এবং কণার গতি বোঝার জন্য ব্যবহৃত হয়।

ক্রায়োজেনিক্স হলো চরম নিম্ন তাপমাত্রায় পদার্থের আচরণ ও পরিবর্তন নিয়ে গবেষণা। এটি স্পেস প্রযুক্তি, তরল হাইড্রোজেন সংরক্ষণ ও সুপারকন্ডাক্টরের গবেষণায় ব্যবহৃত হয়।

ন্যানোটেকনোলজি হলো অতিক্ষুদ্র পদার্থের বৈশিষ্ট্য ও তাদের প্রযুক্তিগত ব্যবহার নিয়ে গবেষণা। এটি মেডিকেল, ইলেকট্রনিক্স ও পরিবেশ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ।

অ্যারোডাইনামিক্স হলো বায়ুর প্রবাহ ও তা বিমানের নকশায় কিভাবে প্রভাব ফেলে তা নিয়ে গবেষণা। এটি বিমান, গাড়ির ডিজাইন ও মহাকাশ প্রযুক্তিতে ব্যবহৃত হয়।

রোবোটিক্স হলো স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র ও রোবট তৈরির প্রযুক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে গবেষণা। এটি চিকিৎসা, মহাকাশ অভিযান, ও কারখানার উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়।

ক্রিপ্টোগ্রাফি হলো তথ্যের গোপনীয়তা নিশ্চিত করতে এনকোডিং ও ডিকোডিং প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা। এটি সাইবার নিরাপত্তা, অনলাইন লেনদেন ও ডিজিটাল নিরাপত্তায় ব্যবহৃত হয়।

টক্সিকোলজি হলো বিষ ও তার প্রতিক্রিয়া, বিষক্রিয়ার প্রভাব ও চিকিৎসা নিয়ে গবেষণা। এটি ওষুধ, কৃষি কীটনাশক ও খাদ্য নিরাপত্তার গবেষণায় ব্যবহৃত হয়।

ফার্মাকোলজি হলো ওষুধ কীভাবে শরীরে কাজ করে, এর প্রভাব, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও নিরাপত্তা নিয়ে গবেষণা। এটি নতুন ওষুধ আবিষ্কার ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।

কার্ডিওলজি হলো হৃদযন্ত্রের গঠন, কাজ ও হৃদরোগ সম্পর্কিত গবেষণা। এটি হার্ট অ্যাটাক, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।

নিউরোলজি হলো মানব মস্তিষ্ক, স্নায়ুতন্ত্র ও মানসিক রোগ সম্পর্কিত গবেষণা। এটি স্ট্রোক, পারকিনসনস ডিজিজ ও মেমোরি লসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।

ডার্মাটোলজি হলো ত্বকের বিভিন্ন রোগ, অ্যালার্জি ও চিকিৎসা সম্পর্কিত গবেষণা। এটি ব্রণ, একজিমা ও চর্মরোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।

গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি হলো পাকস্থলী, অন্ত্র ও পরিপাকতন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে গবেষণা। এটি এসিডিটি, আলসার ও হজমজনিত সমস্যার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।

রিউমাটোলজি হলো বাত, আর্থ্রাইটিস ও জয়েন্টের ব্যথা সম্পর্কিত গবেষণা। এটি বাতজ্বর ও হাড়ের জোড়ার সমস্যার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।

এন্ডোক্রিনোলজি হলো শরীরের বিভিন্ন গ্রন্থি ও হরমোনের কার্যকারিতা নিয়ে গবেষণা। এটি ডায়াবেটিস, থাইরয়েড সমস্যা ও হরমোনজনিত রোগ নির্ণয়ে ব্যবহৃত হয়।

পালমোনোলজি হলো শ্বাসযন্ত্র, ফুসফুস ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগ সম্পর্কিত গবেষণা। এটি অ্যাজমা, ব্রঙ্কাইটিস ও ফুসফুসের সংক্রমণের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।

ইউরোলজি হলো কিডনি, মূত্রনালি ও প্রস্রাব সংক্রান্ত সমস্যার গবেষণা। এটি কিডনি স্টোন, প্রস্রাব সমস্যা ও প্রোস্টেটের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।

ইমিউনোলজি হলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, সংক্রমণ ও টিকা নিয়ে গবেষণা। এটি ভাইরাস প্রতিরোধ, অটোইমিউন ডিজিজ ও টিকা তৈরির কাজে ব্যবহৃত হয়।

হেমাটোপ্যাথোলজি হলো রক্তের বিভিন্ন রোগ যেমন লিউকেমিয়া, অ্যানিমিয়া ও রক্ত জমাট বাঁধা সমস্যা নিয়ে গবেষণা। এটি রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে বিভিন্ন রোগ নির্ণয়ে ব্যবহৃত হয়।

অ্যানেস্থেসিওলজি হলো অস্ত্রোপচারের সময় রোগীকে ব্যথাহীন করার প্রক্রিয়া নিয়ে গবেষণা। এটি সার্জারি, ডেলিভারি ও দাঁতের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।

ফরেনসিক বিজ্ঞান হলো অপরাধ তদন্তে বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ ও প্রমাণ সংগ্রহ নিয়ে গবেষণা। এটি ক্রাইম সিন তদন্ত, ডিএনএ বিশ্লেষণ ও হাতের ছাপ পরীক্ষায় ব্যবহৃত হয়।

সাইকিয়াট্রি হলো মানসিক রোগ, আচরণগত সমস্যা ও মানসিক চিকিৎসা নিয়ে গবেষণা। এটি বিষণ্ণতা, স্কিজোফ্রেনিয়া ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে ব্যবহৃত হয়।

প্যাথলজি হলো বিভিন্ন রোগ কীভাবে হয়, তার কারণ ও প্রভাব নিয়ে গবেষণা। এটি ল্যাব টেস্ট, টিস্যু বিশ্লেষণ ও রোগ নির্ণয়ে ব্যবহৃত হয়।

মাইক্রোবায়োলজি হলো ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ফাঙ্গাস ও পরজীবী নিয়ে গবেষণা। এটি সংক্রমণ রোগ, অ্যান্টিবায়োটিক গবেষণা ও বায়োটেকনোলজিতে ব্যবহৃত হয়।

ব্যাকটেরিওলজি হলো ব্যাকটেরিয়ার গঠন, কার্যকারিতা ও সংক্রমণের ধরন নিয়ে গবেষণা। এটি সংক্রমণ প্রতিরোধ, ওষুধ আবিষ্কার ও চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।

প্যারাসিটোলজি হলো পরজীবী কীট, ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসজনিত রোগ নিয়ে গবেষণা। এটি ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়া ও পরজীবীজনিত সংক্রমণ রোধে ব্যবহৃত হয়।

রেডিওলজি হলো এক্স-রে, সিটি স্ক্যান ও এমআরআই প্রযুক্তির মাধ্যমে রোগ নির্ণয় নিয়ে গবেষণা। এটি হাড়ের সমস্যা, ক্যান্সার শনাক্তকরণ ও মস্তিষ্ক বিশ্লেষণে ব্যবহৃত হয়।

নিউক্লিয়ার মেডিসিন হলো তেজস্ক্রিয় পদার্থ ব্যবহার করে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার বিজ্ঞান। এটি ক্যান্সার শনাক্তকরণ, থাইরয়েড বিশ্লেষণ ও চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।

বায়োটেকনোলজি হলো জীবদেহের উপাদান ব্যবহার করে ওষুধ, ভ্যাকসিন ও কৃষি প্রযুক্তি উন্নয়নের বিজ্ঞান। এটি খাদ্য নিরাপত্তা, চিকিৎসা গবেষণা ও পরিবেশ সংরক্ষণে ব্যবহৃত হয়।

জেনেটিক্স হলো জিন ও ডিএনএর কার্যকারিতা, বংশগত রোগ ও বিবর্তন নিয়ে গবেষণা। এটি বংশগত রোগ নির্ণয়, জেন থেরাপি ও ক্লোনিং প্রযুক্তিতে ব্যবহৃত হয়।

এমব্রায়োলজি হলো ভ্রূণের বিকাশ, গঠন ও গর্ভকালীন বৃদ্ধি নিয়ে গবেষণা। এটি প্রসূতি চিকিৎসা, গর্ভধারণ সমস্যা ও মানব বিকাশ বিশ্লেষণে ব্যবহৃত হয়।

হিস্টোলজি হলো মানবদেহের টিস্যুর গঠন, কার্যকারিতা ও রোগ নির্ণয়ের বিজ্ঞান। এটি ক্যান্সার গবেষণা, অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিশ্লেষণ ও সার্জারি পরিকল্পনায় ব্যবহৃত হয়।

জুলজি হলো প্রাণীদের গঠন, আচরণ ও পরিবেশগত ভূমিকা নিয়ে গবেষণা। এটি প্রাণী সংরক্ষণ, জীববৈচিত্র্য বিশ্লেষণ ও প্রাণী চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।

বোটানি হলো উদ্ভিদের গঠন, বৃদ্ধির ধরন ও পরিবেশগত ভূমিকা নিয়ে গবেষণা। এটি কৃষি, বনজ সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও ওষধি উদ্ভিদ গবেষণায় ব্যবহৃত হয়।

ইকোলজি হলো জীব ও পরিবেশের পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে গবেষণা। এটি জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ সংরক্ষণ ও বাস্তুসংস্থানের উন্নয়নে ব্যবহৃত হয়।

অ্যন্থ্রোপলজি হলো মানবজাতির উৎপত্তি, ইতিহাস, সংস্কৃতি ও সামাজিক আচরণ নিয়ে গবেষণা। এটি সমাজ উন্নয়ন, প্রত্নতত্ত্ব ও বৈষম্য বিশ্লেষণে ব্যবহৃত হয়।

ক্রাইয়োলজি হলো নিম্ন তাপমাত্রা, হিমায়িত পরিবেশ ও গ্লেসিয়ার নিয়ে গবেষণা। এটি আবহাওয়া বিশ্লেষণ, মহাকাশ গবেষণা ও সংরক্ষণ প্রযুক্তিতে ব্যবহৃত হয়।

অ্যাস্ট্রোবায়োলজি হলো মহাবিশ্বে জীবন কেমন হতে পারে এবং পৃথিবীর বাইরের গ্রহগুলোতে প্রাণের অস্তিত্ব আছে কিনা, তা নিয়ে গবেষণা। এটি মহাকাশ অনুসন্ধান, গ্রহের আবহাওয়া বিশ্লেষণ এবং এলিয়েন জীবনের সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করে।

সিসমোলজি হলো ভূমিকম্পের কারণ, তরঙ্গ, এবং প্লেট টেকটোনিক্স নিয়ে গবেষণা। এটি ভূমিকম্পের পূর্বাভাস, বিল্ডিং ডিজাইন, এবং ভূকম্পন রোধে ব্যবহৃত হয়।

প্যালিওন্টোলজি হলো ডাইনোসরসহ প্রাচীন জীবের জীবাশ্ম ও তাদের বিবর্তন নিয়ে গবেষণা। এটি পৃথিবীর অতীত পরিবেশ, প্রাগৈতিহাসিক প্রাণী, এবং জীবনের বিবর্তন বুঝতে সাহায্য করে।

অ্যারোডাইনামিক্স হলো বায়ুপ্রবাহ এবং এটি কীভাবে বিমান, গাড়ি, ও অন্যান্য বস্তুতে প্রভাব ফেলে তা নিয়ে গবেষণা। এটি বিমান নির্মাণ, গাড়ির ডিজাইন, এবং মহাকাশযান গবেষণায় ব্যবহৃত হয়।

হাইড্রোলজি হলো ভূগর্ভস্থ ও ভূ-পৃষ্ঠের জলবাহিত প্রক্রিয়া, জলবায়ু পরিবর্তন এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গবেষণা। এটি কৃষি, নগর উন্নয়ন, এবং পরিবেশ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

জিওফিজিক্স হলো পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ কাঠামো, চৌম্বকক্ষেত্র, এবং মহাকর্ষীয় শক্তি নিয়ে গবেষণা। এটি ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত, ও খনিজ অনুসন্ধানে ব্যবহৃত হয়।

ক্রিস্টালোগ্রাফি হলো কঠিন পদার্থের গঠন, পরমাণু বিন্যাস, ও রাসায়নিক বন্ধন বিশ্লেষণ নিয়ে গবেষণা। এটি ফার্মাসিউটিক্যালস, পদার্থবিজ্ঞান ও রত্নবিজ্ঞানে ব্যবহৃত হয়।

ফার্মাকোলজি হলো ওষুধের কার্যকারিতা, রাসায়নিক গঠন ও মানবদেহে প্রভাব নিয়ে গবেষণা। এটি নতুন ওষুধ আবিষ্কার, রোগ প্রতিরোধ, ও চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।

ফরেনসিক বিজ্ঞান হলো অপরাধ বিশ্লেষণ, ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে অপরাধীদের চিহ্নিতকরণ ও তদন্তে সহায়তা করার বিজ্ঞান। এটি পুলিশ ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর অপরাধ তদন্তে ব্যবহৃত হয়।

টক্সিকোলজি হলো বিভিন্ন রাসায়নিক ও বিষাক্ত পদার্থের মানবদেহের উপর প্রভাব নিয়ে গবেষণা। এটি ওষুধ নিরাপত্তা, পরিবেশগত বিষক্রিয়া ও চিকিৎসা গবেষণায় ব্যবহৃত হয়।

এথনোবোটানি হলো বিভিন্ন সংস্কৃতির মধ্যে উদ্ভিদের ব্যবহার, প্রাচীন ওষধি উদ্ভিদের গবেষণা নিয়ে কাজ করে। এটি ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসা, ঔষধি গাছ, এবং কৃষি বিজ্ঞানে ব্যবহৃত হয়।

হারপেটোলজি হলো সাপ, কুমির, ব্যাঙসহ বিভিন্ন উভচর ও সরীসৃপ প্রাণীর জীবনধারা নিয়ে গবেষণা। এটি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ, বিষাক্ত প্রাণী গবেষণা ও পরিবেশগত জীববিজ্ঞান বিশ্লেষণে ব্যবহৃত হয়।

লিমনোলজি হলো হ্রদ, নদী, ও জলাভূমির জলবিজ্ঞান, বাস্তুসংস্থান ও জীববৈচিত্র্য নিয়ে গবেষণা। এটি জলজ বাস্তুসংস্থান, পানি ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণে ব্যবহৃত হয়।

বায়োকেমিস্ট্রি হলো কোষের রাসায়নিক প্রক্রিয়া, এনজাইম, ডিএনএ ও প্রোটিনের কার্যকারিতা নিয়ে গবেষণা। এটি চিকিৎসা, জিনগত গবেষণা ও খাদ্য বিজ্ঞান বিশ্লেষণে ব্যবহৃত হয়।

অ্যাস্ট্রোফিজিক্স হলো মহাবিশ্বের বিভিন্ন মহাজাগতিক বস্তু যেমন তারা, গ্যালাক্সি, ব্ল্যাক হোল ইত্যাদির গঠন ও কার্যকারিতা নিয়ে গবেষণা। এটি মহাকাশ অনুসন্ধান, কসমোলজি ও মহাকর্ষ গবেষণায় ব্যবহৃত হয়।

মেরিন বায়োলজি হলো সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য, সামুদ্রিক প্রাণী ও উদ্ভিদের অধ্যয়ন। এটি সামুদ্রিক বাস্তুসংস্থান সংরক্ষণ, জলজ খাদ্য গবেষণা ও পরিবেশ বিশ্লেষণে ব্যবহৃত হয়।

থার্মোডাইনামিক্স হলো তাপ, শক্তি ও এদের পরিবর্তনশীলতা নিয়ে গবেষণা। এটি ইঞ্জিনিয়ারিং, শক্তি উৎপাদন ও জলবায়ু গবেষণায় ব্যবহৃত হয়।

কার্টোগ্রাফি হলো মানচিত্র তৈরির বিজ্ঞান, যাতে ভৌগোলিক স্থান ও এলাকার চিত্রায়ণ করা হয়। এটি ভূগোল, আবহাওয়া বিশ্লেষণ ও নেভিগেশন প্রযুক্তিতে ব্যবহৃত হয়।

সাইকিয়াট্রি হলো মানব মনের রোগ, চিকিৎসা ও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গবেষণা। এটি ডিপ্রেশন, স্কিজোফ্রেনিয়া ও অন্যান্য মানসিক রোগ নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়।

লেক্সিকোগ্রাফি হলো শব্দভাণ্ডার সংকলন, শব্দের অর্থ ও ব্যবহার নিয়ে গবেষণা। এটি ভাষা বিজ্ঞান, অনুবাদ ও অভিধান তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।