🏺পুরাতন দলিলে ব্যবহৃত শব্দের ব্যুৎপত্তি, অর্থ, সংক্ষেপণ
১. মৌজা: গ্রাম, নির্দিষ্ট এলাকা। CS (ক্যাডস্টাল) জরিপ করাকালে থানাভিত্তিক এক বা একাধিক গ্রাম, ইউনিয়ন, পাড়া বা মহল্লা পৃথক করে বিভিন্ন এককে ভাগ করে ক্রমিক নাম্বার দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে। বিভক্তকৃত এই প্রত্যেকটি একককে মৌজা বলা হয়। এক বা একাধিক গ্রাম বা পাড়া নিয়ে একটি মৌজা গঠিত হয়। মৌজা রাজস্ব আদায়ের সর্বনিম্ন একক-এলাকা।
২. জে.এল নং: মৌজা নং, গ্রাম নম্বর। একটি নির্দিষ্ট অধিক্ষেত্রে (Jurisdiction) অধুনা উপজেলা বা থানায় যতগুলো মৌজা বা গ্রাম থাকে ক্রমানুযায়ী তাদের সবকটির একটা তালিকা (List) তৈরি করা হয়। এই তালিকা বা লিস্টকে ‘জুরিশডিকশান লিস্ট (Jurisdiction List) বলা হয়।
৩. পাট্টা পাট্টা দলিল: ফিতার আরেক নাম পাট্টা। অর্থ— (বিশেষ্যে) ভূমির ক্রয়বিক্রয় বা পত্তনিসংক্রান্ত দলিল, ভাঁজ (দোপাট্টা), ঘন স্তর চাপ (গালপাট্টা, কানপাট্টা)।
৪. খং: খতিয়ান শব্দের সংক্ষেপণ। খতিয়ান হলো জমিজমা সংক্রান্ত হিসাবের রেকর্ড।
৫. সাবেক: পূর্বকালের, আগের, প্রাচীন, পুরাতন। জমিজমার দলিলে এটি আগের মালিক বা জমির পূর্বেকার অবস্থা বা প্রকৃতি প্রকাশের জন্য ব্যবহৃত হয়।
৬. হাল: বর্তমান। বর্তমান কাল, চলতি, হাল আমল।
৭. বং: বকলম, যিনি নিরক্ষর ব্যক্তির নাম লিখেন।
৮. নিং: নিরক্ষর, যাদের অক্ষর জানা নেই।
৯. গং: প্রমুখ, অন্যান্য, প্রভৃতি।
১০. সাং: সাকিন, ঠিকানা, বাড়ি, সড়ক নং, পাড়া, গ্রাম, ডাকঘর প্রভৃতি।
১১. খোশকবালা: স্বেচ্ছাকৃত স্বত্ব হস্তান্তরের পাকা দলিল।
১২. শনাক্তকারী: যিনি পরিচয় নিশ্চিত করেন। জমিজমার দলিলে যিনি বিক্রেতার বা ক্রেতার পরিচয় নিশ্চিত করেন।
১৩. এজমালি, এজমালি সম্পত্তি: যৌথ, একাধিক জনের অধিকারভুক্ত।
১৪. মুসাবিদা: দলিল লেখক। খসড়া, পাণ্ডুলির প্রস্তুতি।
১৫. পরচা: প্রাথমিক খতিয়ানের নকল।
১৬. বাস্তু, বাস্তুভিটা: বসবাসের স্থান, বংশানুক্রমে অধ্যুষিত আবাস।
১৭. বাটোয়ারা, বাটোয়ারা মামলা: উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি আইনানুগভাবে বণ্টন করার মামলা।
১৮. বায়া: বিক্রেতা, যারা সম্পত্তি বিক্রি করেন।
১৯. মবলগ: নগদ, মোট অর্থ।
২০. মং: মবলগ, মোট।
২১. এওজ সূত্র: সম্পত্তির বদলে অন্য সম্পত্তির পরিবর্তন বা বদল।
২২. হিসসা: অংশ, প্রাপ্য অংশ।
২৩. একুনে: মোট, সবসুদ্ধ, সাকুল্যে।
২৪. জরিপ: ভূমির অবস্থান, আয়তন নির্ণয়।
২৫. এজমালি: একাধিক শরিক বা অংশীদারের অধিকারভুক্ত ভূমি।
২৬. চৌহদ্দি: সীমানা, চারপাশের সীমানা।
২৭. সিট: নকশার অংশ বা মৌজার অংশের নকশা।
২৮. দাখিলা: খাজনার রশিদ, প্রজাকে জমিদারের দেওয়া খাজনা প্রাপ্তির রসিদ।
২৯. নকশা: ম্যাপ, মানচিত্র।
৩০. নল: জমি পরিমাপের দণ্ডবিশেষ।
৩১. নাল জমি: চাষাবাদের উপযোগী সমতল জমি।
৩২. পিং: পিতা, পিতার সংক্ষেপণ।
৩৩. জং: স্বামী, আরবি জওজ শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ।
৩৪. দাগ নং: জমির নম্বর, ভূমির পরিমাপের সময় প্রদত্ত নাম্বার।
৩৫. এতদার্থে: এতকিছুর পর, বর্ণিত কারণসমূহের পরিপ্রেক্ষিতে।
৩৬. স্বজ্ঞানে: নিজের বিবেচনায়, অন্য কারো প্ররোচনা বা চাপ ব্যতীত।
৩৭. সমুদয়: সব কিছু, প্রয়োজনীয় সব কিছু।
৩৮. ইয়াদিকৃত: পরম করুণাময় সৃষ্টিকর্তার নামে শুরু করা।
৩৯. পত্র মিদং: পত্রের মাধ্যমে, দলিলের মাধ্যমে।
৪০. বিং: বিস্তারিত, বিস্তৃত, পরিপূর্ণ বর্ণনা।
৪১. দং: দখলকারী, যে সম্পত্তির দখল রাখে।
৪২. পত্তন: সাময়িক বন্দোবস্ত, নির্দিষ্ট মেয়াদে খাজনা প্রদানের শর্তে জমির মালিকানা প্রদান।
৪৩. বদল সূত্র: একটি জমি দিয়া অন্য জমি গ্রহণ করার সূত্র।
৪৪. মওকুফ: নিষ্কৃতি, কোনো শর্ত বা বিষয় থেকে মুক্তি দেওয়া।
৪৫. দিশাশি রেখা: দিকনির্দেশনা, জমির সীমানা নির্দেশকারী রেখা।
৪৬. হেবা, হেবা দলিল, হেবা-বিল-এওয়াজ: প্রতিদান ছাড়া হেবা, দান করা সম্পত্তি।
৪৭. বাটা দাগ: জমির সীমানা সংশোধনের জন্য প্রদত্ত নতুন দাগ নম্বর।
৪৮. অধুনা: বর্তমান, সম্প্রতি, আজকাল।
৪৯. রোক: নগদ অর্থ, খরচের নগদ পরিমাণ।
৫০. বায়া: জমির মালিকানার ইতিহাস, চেইন অব টাইটেলস।
৫১. দান সূত্র: সম্পত্তি দান করার সূত্র।
৫২. দাখিল খারিজ: জমির মালিকের নাম পৃথক করে দেওয়া।
৫৩. তফসিল: তালিকা, কোনো দলিলের নিম্নভাগে সম্পত্তির তালিকা।
৫৪. খারিজ: এক বা একাধিক অংশীদারের জমি পৃথক করার অনুমতি দেওয়া।
৫৫. খতিয়ান: মৌজার জমির একত্রে প্রস্তুত রেকর্ড।
৫৬. জরিপ: ভূমি অবস্থান ও পরিমাণ নির্ধারণ।
৫৭. এওয়াজ সূত্র: ভূমি বা সম্পত্তির বদল, পরিবর্তন।
৫৮. অছিয়তনামা: মৃত্যুর পূর্বে সম্পত্তি বণ্টন সংক্রান্ত দলিল।
৫৯. তফসিল: বিক্রিত জমির তালিকা।
৬০. নামজারি: পৃথক অংশীদারের জন্য নাম খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত করাকে নামজারি বলা হয়। ৬১. অধীনস্থ স্বত্ত্ব: উপরিস্থিত স্বত্ত্ব বা জমিদারি স্বত্ত্বের অধীনে কোনো স্বত্ত্ব সৃষ্টি করলে তাকে অধীনস্থ স্বত্ত্ব বা নিচস্থ স্বত্ত্ব বলা হয়।
৬২. আলামত: ম্যাপ বা মানচিত্রের মধ্যে গাছপালা, বাড়িঘর, মন্দির, মসজিদ, গোরস্থান, জলভূমি, ইত্যাদি দেখানোর জন্য ব্যবহৃত চিহ্ন।
৬৩. আমনামা: কোনো ব্যক্তি অন্যের নিকট হতে কোনো ভূমি নিলাম বা খরিদ করে ভূমিতে দখল নেওয়ার জন্য যে দলিল প্রাপ্ত হয় তাকে আমনামা বলা হয়।
৬৪. আসলি: মূল ভূমি।
৬৫. আধি: উৎপাদিত ফসলের অর্ধেক ভূমির মালিক, অর্ধেক প্রজা রাখলে তাকে আধি বা বর্গ বলে।
৬৬. ইজারা: ঠিকা, নির্দিষ্ট খাজনায় নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তালুক বা মহলাদির বন্দোবস্ত দেওয়া বা নেওয়া।
৬৭. ইয়াদদন্ত: স্মারকলিপি।
৬৮. ইশতাহার: ঘোষণাপত্র।
৬৯. এস্টেট: ১৭৯৩ সালে সরকার বাহাদুর যে সমস্ত মহাল স্থায়ীভাবে বন্দোবস্ত দিয়াছেন তাহাদিগকে জমিদারী বা এস্টেট বলে।
৭০. ওয়াকফ: ধর্মীয় কাজের উদ্দেশে আল্লাহর নামে উৎসর্গিত সম্পত্তি।
৭১. কিত্তা: চারিটি আইল দ্বারা বেষ্টিত ভূখণ্ডকে এক একটি কিত্তা বা পট বলে।
৭২. কিস্তোয়ার জরিপ: গ্রামের অন্তর্গত জমিগুলো কিত্তা কিত্তা করে জরিপ করার নাম কিস্তোয়ার।
৭৩. কিস্তি: নির্দিষ্ট তারিখ অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা পরিশোধের অঙ্গীকার বা ব্যবস্থা।
৭৪. কায়েম স্বত্ত্ব: চিরস্থায়ীভাবে বন্দোবস্ত দেওয়া ভূমিকে কায়েম স্বত্ত্ব বলে।
৭৫. কবুলিয়ত: মালিকের বরাবরে স্বীকারোক্তি করে কোনো দলিল দিলে তাকে কবুলিয়ত বলে।
৭৬. কটকোবালা: সুদের পরিবর্তে মহাজনের দখলে জমি দিয়া টাকা কর্জ করার প্রমাণস্বরূপ যে দলিল দেওয়া হয় তাকে কটকোবালা বল।
৭৭. কান্দা: উচ্চ ভূমি। গোবামের সন্নিকটস্থ ভূমিকেও কান্দা বলে।
৭৮. কিসমত: মৌজার অংশকে কিসমত বলে।
৭৯. কোলা ভূমি: বসতবাড়ি সংলগ্ন নাল জমিকে কোলা ভূমি বলে।
৮০. কোল: নদীর কোনো ছোট অংশ তার প্রধান স্রোতের সঙ্গে যুক্ত হয়ে গেলে তাকে কোল বলে।
৮১. খানাপুরি: প্রাথমিক স্বত্ত্ব লিপি, খসড়া ও খতিয়ানের কলাম বা ঘর পূরণ করার কাজ।
৮২. খামার: ভূম্যধিকারীর খাস দখলীয় ভূমিকে খামার, খাস-খামার, নিজ জোত বা কমত বলে।
৮৩. খাইখন্দক: ডোবা, গর্ত, খাল, নালা ইত্যাদি চাষের অযোগ্য ভূমিকে খাইখন্দক বলে।
৮৪. খিরাজ: কর, খাজনা।
৮৫. খানে খোদা: মসজিদ।
৮৬. খসড়া: জমির মোটামুটি বা খসড়া বর্ণনা।
৮৭. গর বন্দোবস্তি: যে জমির কোনো বন্দোবস্ত দেওয়া হয়নি।
৮৮. গরলায়েক পতিত: খাল, নালা, তীরচর, ঝাড়, জঙ্গল ইত্যাদি অনাবাদি ভূমিকে গরলায়েক পতিত বলে।
৮৯. গির্বি: বন্ধক।
৯০. চক: থক বসত ম্যাপের এক একটি পটকে চক বলে।
৯১. জমাবন্দি: খাজনার তালিকা।
৯২. চাকরান: জমিদার বাড়ির কাজ-কর্ম নির্বাহ করার পারিশ্রমিকস্বরূপ বা বেতনের পরিবর্তে ভোগ-দখল করার জন্য যে জমি দেওয়া হয় তাকে চাকরান বলে।
৯৩. চাঁদা: জরিপ কার্যে নির্দিষ্ট করা স্টেশনকে চাঁদা বলে।
৯৪. চটান: বাড়ির সন্নিকটস্থ উঁচু পতিত স্থানকে চটান বলে।
৯৫. চালা: উঁচু আবাদি ভূমি (পুকুরের পাড় ইত্যাদি)
৯৬. চর: পলিমাটি গঠিত ভূমি।
৯৭. জবর-দখল: জোরপূর্বক দখল।
৯৮. জমা: এক বা একাধিক ভূমির জন্য একত্রে যে খাজনা দেওয়া হয় তাকে এক একটি জমা বলে।
৯৯. জোত: এক প্রকার প্রজাস্বত্ত্ব।
১০০. জজিরা: নাব্য নদীতে যে দ্বীপ গঠিত হয় তাকে জজিরা বলে।
১০১. জায়সুদি: হস্তান্তর করার ক্ষমতা ব্যতীত কিছুকালের জন্য বন্ধক। মহাজনের নিকট বন্ধক দিয়ে যদি এই মর্মে টাকা কর্জ করা যায়, যে যতদিন পর্যন্ত আসল টাকা পরিশোধ না হবে ততদিন পর্যন্ত মহাজন উক্ত জমি ভোগ-দখল করতে থাককে, এমন হস্তান্তর বা সম্পত্তি ভোগের অধিকার প্রদানকে জায়সুদি বলা হয়।
১০২. জালি: এক প্রকার ধান, যা জলাভূমিতে জন্মে।
১০৩. টেক: নদীর ভগ্নস্থান ভরাট হয়ে গেলে যে পয়স্তি সৃষ্টি হয় তাকে টেক বলে।
১০৪. টাভার্স: ঘের জরিপ।
১০৫. ঠিকা রায়ত: নির্দিষ্ট মেয়াদে সাময়িকভাবে দখলকারকে ঠিক রায়ত বলে, যে রায়তের কোনো দখলি স্বত্ত্ব নেই।
১০৬. ঢোল সহরত: কোনো ক্রোক, নিলাম ইশতাহার বা দখলি পরওয়ানা সরজমিনে ঢোল পিটাইয়া জারি করাকে ঢোল সহরত বলে।
১০৭. তামিল: আদেশ মোতাবেক রেকর্ড সংশোধন করা।
১০৮. তামাদি: খাজনা আদায় করার নির্দিষ্ট সময় অতিক্রম হয়ে গেলে তাকে তামাদি বলে।
১০৯. তুদাবন্দি: সীমানা নির্দেশ।
১১০. তহশিল: খাজনাদি আদায়ের নিমিত্ত বিভাজিত নির্দিষ্ট এলাকাকে তহশিল বলে। নির্দিষ্ট তহশিলে খাজনা আদায়ের কাজে নিয়োজিতদের বলা হয় তহশিলদার।
১১১. তলবানা: সমন জারির সময় পিয়নকে প্রদত্ত ফি।
১১২. তলববাকি: বকেয়া খাজনা আদায়ের কিস্তি।
১১৩. তালুক: নিম্নস্থ স্বত্ত্ব।
১১৪. তরমিম: শুদ্ধীকরণ।
১১৫. তরতিব: শৃঙ্খলা।
১১৬. তৌজি: ১৭৯৩ খ্রিষ্টাব্দে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তীয় ভূমির জন্য কালেক্টরিতে রক্ষিত রেজিস্ট্রি বইকে তৌজি বলে। প্রত্যেক তৌজির ক্রমিক নম্বর থাকে। জমিদারের অধীন প্রজার জোতকেও তৌজি বলা হয়।
১১৭. তহশিলদার: খাজনা আদায়ের জন্য বিভাজিত নির্দিষ্ট এলাকাকে তহশিল বলে। নির্দিষ্ট তহশিলের খাজনা আদায়ের কাজে নিয়োজিত কর্মচারীকে বলা হয় তহশিলদার।
১১৮. দরপত্তনি: পত্তনির আওতাধীন, পত্তনির অন্তর্ভুক্ত।
১১৯. দখলিস্বত্ত্ববিশিষ্ট প্রজা: দখলদার হিসেবে যে প্রজার স্বত্ত্ব বিদ্যমান।
১২০. দশসালা বন্দোবস্ত: দশ বৎসরের মেয়াদে বন্দোবস্ত দেওয়াকে দশসালা বন্দোবস্ত বলে।
১২১. দিয়ারা: পলিমাটি দ্বারা গঠিত চর।
১২২. দাগ নম্বর: মৌজার নকশায় প্রত্যেক প্লটের যে ক্রমিক নম্বর বসানো হয়, তাকে দাগ নম্বর বলে।
১২৩. দরবস্ত: সমুদয়, সব।
১২৪. নথি: রেকর্ড।
১২৫. দেবোত্তর: দেবতাদের উদ্দেশে প্রদত্ত নিষ্কর ভূমি।
১২৬. দেবিচর: যেসব বালুচর সাধারণ জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায় সেসব চরকে দেবিচর বলে।
১২৭. দিঘলি: নির্দিষ্ট পরিমাণ খাজনা আদায়কারী প্রজাবিশেষ।
১২৮. নক্সা ভাওড়ন: এখন পূর্ব জরিপ অনুসারে গ্রামের সীমাগুলো ঠিক মতো পাওয়া যায় না। ফলে সীমানা নিয়ে প্রায়শ জমিদারের মধ্যে ঝগড়া হয়। পূর্বের মাঠবহি অনুসারে প্রত্যেক লাইনের মাপ ও বিয়ারিং নিয়ে, লাইনটি প্রথমে যেখানে যেভাবে ছিল, তা চিহ্নিত করে, কোন জমি কোন মৌজার অন্তর্গত, তা ঠিক করার নামই হলো নক্সা ভাওড়ান বা রিলেইং বাউন্ডারিজ।
১২৯. নামজারি: ভূম্যধিকারী সরকারের সাবেক নামের পরিবর্তে খরিদ্দার অথবা ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত ব্যক্তির নাম রেজিস্ট্রি বা অন্তর্ভুক্ত করাকে নামজারি বলে।
১৩০. নাম খারিজ বা জমা খারিজ: ১৬ আনা জোতার মোট জমা হতে নামজারীকৃত ওয়ারিশ বা খরিদ্দারের দখলীয় জমির জমা ১৬ আনা জোতজমার হার অনুসারে জাম ভাগ করে দিয়ে পৃথক জমা সৃজন করাকে নাম খারিজ বা জমা খারিজ বলে।
১৩১. ৩ ফর্দ: দলিলের পাতা, দফা, প্রস্থ
১৩২. তঞ্চকতা: প্রতারণা।