Skip to Content
🎓 English🔤 Grammarণ-ত্ব, ষ-ত্ব বিধান

তৎসম বা সংস্কৃত শব্দে ণ-এর ব্যবহারের নিয়মকে ণ-ত্ব বিধান বলে।

🔖 ণ-ত্ব বিধানের নিয়ম:

  1. ঋ, র, ষ—এই তিনটি বর্ণের পর তৎসম শব্দের দন্ত্য’ন’ → ‘ণ’ হবে।

🔸 উদাহরণ: ঋণ, ঘৃণা, রণ, বর্ণ, ভূষণ ইত্যাদি।


  1. ঋ, র, ষ-এর পর স্বরবর্ণ, ক-বর্গ, প-বর্গ, ষ, হ অথবা ং (অনুস্বার) থাকলে তার পরবর্তী দন্ত্য ‘ন’ → ‘ণ’ হবে।

🔸 উদাহরণ: লক্ষণ, ভক্ষণ, রেণু, পাষাণ, নির্বাণ, দর্পণ, গ্রহণ ইত্যাদি।


  1. ট বর্গের পূর্বে দন্ত্য ‘ন’ মূর্ধন্য ‘ণ’ হয়।

🔸 উদাহরণ: বণ্টন, লুণ্ঠন, খণ্ড ইত্যাদি।


  1. প্র, পরা, পরি, নির—এই চারটি উপসর্গের পরবর্তী দন্ত্য ‘ন’ মূর্ধন্য ‘ণ’ হবে।

🔸 উদাহরণ: প্রণাম, প্রমাণ, পরায়ণ, পরিণতি, নির্ণয় ইত্যাদি।


  1. ত, থ, দ, ধ-এর পূর্বে সংযুক্ত বর্ণে দন্ত্য ‘ন’ হয়, ‘ণ’ হয় না।

🔸 উদাহরণ: দৃষ্টান্ত, বৃন্ত, গ্রন্থ, ক্রন্দন, বন্ধন ইত্যাদি।


  1. সমাসবদ্ধ শব্দে দুই পদেরই অর্থের প্রাধান্য থাকলে ণ-ত্ব বিধান খাটে না।

🔸 উদাহরণ: ত্রিনয়ন, সর্বনাম, দুর্নীতি ইত্যাদি।


  1. কতকগুলো শব্দে স্বভাবতই মূর্ধন্য-ণ হয়৷ যেমন:

চাণক্য মাণিক্য গণ, বাণিজ্য লবণ মণ বেণু বীণা কঙ্কণ কণিকা৷ কল্যাণ শোণিত মণি, স্থাণু গুণ পুণ্য বেণী ফণী অণু বিপণি গণিকা৷ আপণ লাবণ্য বাণী, নিপুণ ভণিতা পাণি গৌণ কোণ ভাণ পণ শাণ৷ চিক্কণ নিক্কণ তূণ, কফণি (কনুই) বণিক গুণ গণনা পিণাক পণ্য বাণ৷

Last updated on