সামারি

• 🧬 জীবজগৎ
  • সুপার কিংডম-1/ প্রোক্যারিওটা/ কেন্দ্রীকা সুগঠিত নয়
    • রাজ্য-1/মনেরা
      • এক্যারিওটা/ অকোষীয়
      • প্রোক্যারিওটা/ আদিকোষীয়
  • সুপার কিংডম-2/ ইউক্যারিওটা/ কেন্দ্রিকা সুগঠিত
    • রাজ্য-2/ প্রোটিস্টা
    • রাজ্য-3/ ফানজাই
    • রাজ্য-4/ প্লান্টি/ উদ্ভিদজগৎ
      • সপুষ্পক উদ্ভিদ
      • অপুষ্পক উদ্ভিদ
        • মসবর্গীয়
        • ফার্ণবর্গীয়
        • সমাঙ্গবর্গীয়
          • শৈবাল
          • ছত্রাক
    • রাজ্য-5/ অ্যানিমেলিয়া
      • 9 টি মেজর পর্ব
        • 1. পরিফেরা(Porifera)
        • 2. নিডারিয়া(Cnidaria)
        • 3. প্লাটিহেলমিনথেস(Platyhelminthes)
        • 4. নেমাটোডা(Nematoda)
        • 5. অ্যানেলিডা(Annelida)
        • 6. আর্থ্রোপোডা(Arthropoda)
        • 7. মলাস্কা(Mollusca)
        • 8. একাইনোডারমাটা(Echinodermata)
        • 9.কর্ডাটা(Chordata)
          • ইউরোকর্ডাটা
          • সেফালোকর্ডাটা
          • ভার্টিব্রাটা
            • সাইক্লোস্টোমাটা
            • কনড্রিকথিস
            • অস্টিকথিস
            • উভচর
            • সরীসৃপ
            • পক্ষীকূল
            • স্তন্যপায়ী

কলাপ্সেবল ভিউ

বিস্তারিত বিশ্লেষণ

🦍 জীবজগৎ এর শ্রেণীবিন্যাস

🦠 সুপার কিংডম ১: প্রোক্যারিওটা (কেন্দ্রীকা সুগঠিত নয়)

1️⃣ রাজ্য-1 মনেরা:

• এককোষী।
• কোষে সুগঠিত নিউক্লিয়াস থাকে না।
• অনুবিক্ষণ যন্ত্র ছাড়া দেখা যায় না।
• উদাহরণ: ব্যক্টেরিয়া, সায়ানোব্যক্টেরিয়া, স্পাইরোগাইরা ইত্যাদি।

🏆 সুপার কিংডম ২: ইউক্যারিওটা (কেন্দ্রীকা সুগঠিত)

2️⃣ রাজ্য ২: প্রোটিস্টা

• এককোষী বা বহুকোষী।
• কোষে সুগঠিত নিউক্লিয়াস থাকে।
• ক্লোরোফিল যুক্ত।
• একক বা দলবদ্ধভাবে থাকতে পারে।
• উদাহরণ: ইউগ্লেনা, অ্যামিবা ইত্যাদি।

3️⃣ রাজ্য ৩: ফানজাই

• এককোষী বা বহুকোষী।
• কোষে সুগঠিত নিউক্লিয়াস থাকে।
• ক্লোরোফিল নেই।
• পরভোজী।
• উদাহরণ: ইস্ট, পেনিসিলিয়াম, মাশরুম ইত্যাদি।

4️⃣ রাজ্য ৪: প্লান্টি (উদ্ভিদজগৎ)

• অধিকাংশ উদ্ভিদ নিজের খাদ্য নিজে প্রস্তুত করতে পারে।
• দেহ অসংখ্য কোষ দিয়ে গঠিত।
• কোষপ্রাচীর সেলুলোজ দ্বারা নির্মিত।
• কোষে সুগঠিত নিউক্লিয়াস ও কোষ গহ্বর থাকে।
• ক্লোরোফিল থাকে।
• উদাহরণ: আম, জাম, লিচু ইত্যাদি।

অপুষ্পক উদ্ভিদ

যেসব উদ্ভিদে ফুল, ফল, বীজ উৎপন্ন হয় না তাদেরকে অপুষ্পক উদ্ভিদ বলে। যেমন: মস, ফার্ণ ইত্যাদি।

• ফার্ণবর্গীয়

  • এদের দেহ মূল, কান্ড ও পাতায় বিভক্ত। এদের পরিবহণ টিস্যু রয়েছে ও কচি পাতাগুলো কুন্ডীত থাকে। বাড়ির পাশে ছায়াযুক্ত স্থানে এবং পুরানো দালানের প্রাচীরে এদের জম্মাতে দেখা যায়।
    • উদাহরণ: টেরিস।

• মসবর্গীয়

  • এদের দেহ কান্ড ও পাতায় বিভক্ত করা যায়। কিন্তু এদের মূল নেই, মূলের পরিবর্তে রাইজয়েড নামক সূত্রাকার অঙ্গ থাকে। সাধারণত এরা পুরোনো দেয়ালে কার্পেটের মতো নরম আস্তরণ করে জম্মায়।
    • উদাহরণ: ব্রায়াম।

• সমাঙ্গবর্গীয়

  • এদের দেহ মূল, কান্ড ও পাতায় বিভক্ত করা যায় না।
  • শৈবাল: ক্লোরোফিল আছে, নিজের খাদ্য নিজে তৈরি করতে পারে।
    • উদাহরণ: স্পাইরোগাইরা
  • ছত্রাক: ক্লোরোফিল নেই, নিজের খাদ্য নিজে তৈরি করতে পারে না। -উদাহরণ: এগারিকাস।

সপুষ্পক উদ্ভিদ

• যেসব উদ্ভিদের ফুল হয় তাদের সপুষ্কক উদ্ভিদ বলে।

  • উদাহরণ: আম, কাঁঠাল, ধান, নারিকেল ইত্যাদি।

• নগ্নবীজী: নগ্নবীজী উদ্ভিদের ফুলে গর্ভাশয় থাকে না বলে ফল উৎপন্ন হয় না। তাই বীজ নগ্ন অবস্থায় থাকে।

  • উদাহরণ: সাইকাস, পাইনাস ইত্যাদি।

• আবৃতবীজী: আবৃতবীজী উদ্ভিদের ফুলে গর্ভাশয় থাকায় ফল উৎপন্ন হয় এবং বীজ আবৃত থাকে।

  • উদাহরণ: আম, জাম, ধান সুপারি ইত্যাদি।

  • একবীজপত্রী: যে উদ্ভিদের বীজে একটিমাত্র বীজপত্র থাকে, সেই উদ্ভিদকে একবীজপত্রী উদ্ভিদ বলা হয়।

    • উদাহরণ: ধান, গম, ভুট্টা, নারকেল ইত্যাদি।

  • দ্বিবীজপত্রী: যে উদ্ভিদের বীজে দুটি বীজপত্র থাকে, সেই উদ্ভিদকে দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদ বলা হয়।

    • উদাহরণ: ছোলা, মটর, রেড়ি ইত্যাদি।

5️⃣ রাজ্য ৫: অ্যানিমেলিয়া

• ৯ টি মেজর পর্ব
  • অ্যানিমেলিয়া জগতে প্রাণীদের মোট ৩৩ টি পর্ব রয়েছে। এর মধ্যে প্রজাতির সংখ্যাধিক্যের ভিত্তিতে ৯ টি পর্বকে মেজর পর্ব বলা হয়। বাকীগুলো নন-মেজর পর্ব।
  • এই ৯ টি পর্বের প্রথম ৮ টি পর্বের প্রাণীরা অমেরুদন্ডী এবং শেষ পর্বের প্রাণীরা মেরুদন্ডী।

৯টি মেজর পর্ব

1️⃣ পরিফেরা (Porifera)

1. সরলতম বহুকোষী।
2. দেহপ্রাচীর অসংখ্য ছিদ্রযুক্ত।
3. পৃথক সুগঠিত কলা, অঙ্গ ও তন্ত্র থাকে না।
4. এরা নিজেরা নড়াচড়া করতে পারে না, পানিতে এক জায়গায় বসবাস করে।

• উদাহরণ: স্পঞ্জ, স্কাইফা

2️⃣ নিডারিয়া (Cnidaria)

1. দেহ দুটি ভ্ৰণীয় কোষস্তর দ্বারা গঠিত।
2. এদের দেহ গহ্বরকে সিলেট্রেন বলে।
3. এক্টোডার্মে নিডোব্লাস্ট নামে এক বৈশিষ্ট্যপূর্ণ কোষ থাকে।

• উদাহরণ: জেলিফিশ, হাইড্রা

3️⃣ প্লাটিহেলমিনথেস (Platyhelminthes)

1. দেহ চ্যাপ্টা, এরা উভলিঙ্গ ও অন্তঃপরজীবী ।
2. দেহ কিউটিকেল দ্বারা আবৃত।
3. দেহে চোষক ও আংটা থাকে।
4. দেহে শিখা কোষ নামে বিশেষ কোষ থাকে।

• উদাহরণ: ফিতাকৃমি, যকৃতকৃমি

4️⃣ নেমাটোডা (Nematoda)

1. দেহ নলাকার ও পুরু ত্বক দ্বারা আবৃত।
2. সাধারণত এক লিঙ্গ।
3. পৌষ্টিক নালি সম্পূর্ণ, মুখ ও পায়ু ছিদ্র উপস্থিত।
4. দেহ গহ্বর অনাবৃত ও প্রকৃত সিলোম নাই |

• উদাহরণ: গোলকৃমি, ফাইলেরিয়া কৃমি

5️⃣ অ্যানেলিডা (Annelida)

1. দেহ নলাকার ও খণ্ডায়িত।
2. নেফ্রিডিয়া নামক রেচন অঙ্গ থাকে।
3. প্রতিটি খন্ডে সিটা থাকে।

• উদাহরণ: জোঁক, কেঁচো

6️⃣ আর্থ্রোপোডা (Arthropoda)

1. দেহ খন্ডায়িত্ব ও সন্ধিযুক্ত উপাঙ্গ বিদ্যমান।
2. মাথায় একজোড়া পুঞ্জাক্ষি ও অ্যান্টেনা থাকে।
3. দেহের রক্তপূর্ণ গহ্বর হিমোসিল নামে পরিচিত।

• উদাহরণ: প্রজাপতি, মাকড়সা, কাঁকড়া

7️⃣ মলাস্কা (Mollusca)

1. দেহ নরম।
2. নরম দেহটি সাধারণত শক্ত খোলস দ্বারা আবৃত থাকে।
3. ফুসফুস বা ফুলকার সাহায্যে শ্বসনকার্য চালায়।

• উদাহরণ: শামুক, অক্টোপাস

8️⃣ একাইনোডারমাটা (Echinodermata)

1. দেহত্বক কাটাযুক্ত।
2. নালী পদের সাহায্যে চলাচল করে।
3. দেহ পাঁচটি সমান ভাগে বিভক্ত।

• উদাহরণ: তারামাছ, সী আর্চিন

9️⃣ কর্ডাটা (Chordata)

1. সারা জীবন বা ন নটোকর্ড থাকে।
2. সারা জীবন অথবা জীবন চক্রের কোনো এক পর্যায়ে পার্শ্বীয় গলবিলীয় ফুলকা ছিদ্র থাকে।

• উদাহরণ: মানুষ, ব্যাঙ, মাছ, কুকুর, সাপ, হাতি

কর্ডাটা (Chordata) - মেরুদণ্ডী প্রাণীদের শ্রেণীবিন্যাস

কর্ডাটা পর্বের প্রাণীদের তিনটি ভাগে বিভক্ত করা হয়। এরপর এই শ্রেণী থেকে ভার্টিব্রাটা (মেরুদণ্ডী প্রাণী) বিভিন্ন শ্রেণীতে বিভক্ত হয়।

🅰 ইউরোকর্ডাটা (Urochordata)

1. প্রাথমিক অবস্থায় ফুলকা রন্ধ্র, পৃষ্ঠীয় ফাঁপা স্নায়ুরজ্জু থাকে।
2. শুধু লার্ভা দশায় এদের লেজে নটোকর্ড থাকে।

• উদাহরণ: অ্যাসিডিয়া

🅱 সেফালোকর্ডাটা (Cephalochordata)

1. নটোকর্ড এদের দেহের সম্মুখভাগে অবস্থান করে
2. সারাজীবনই নটোকর্ডের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়।

• উদাহরণ: ব্রাঙ্কিওস্টোমা

🅾 ভার্টিব্রাটা (Vertebrata) - মেরুদণ্ডী প্রাণী

এই শ্রেণীর প্রাণীদের মেরুদণ্ড থাকে এবং এদের সাতটি প্রধান ভাগ আছে।

1️⃣ সাইক্লোস্টোমাটা (Cyclostomata)

১. লম্বাটে দেহ । ২. এদের দেহে আইশ বা যুগ্ম পাখনা অনুপস্থিত।

• উদাহরণ: পেট্রোমাইজন

2️⃣ কনড্রিকথিস (Chondrichthyes)

1. সমুদ্রে বাস করে।
2. দেহ প্ল্যাকয়েড আইশ দ্বারা আবৃত।
3. মাথার দুই পাশে ৫-৭ জোড়া ফুলকা ছিদ্র থাকে।
4. কানকো থাকে।

• উদাহরণ: হাঙ্গর, করাত মাছ

3️⃣ অস্টিকথিস (Osteichthyes)

1. অধিকাংশই স্বাদু পানির মাছ।
2. দেহ সাইক্লোয়ড ও টিনয়েড উভয় ধরনের আইশ দ্বারা আবৃত।

• উদাহরণ: ইলিশ মাছ

4️⃣ উভচর (Amphibia)

1. দেহত্বক আইশবিহীন।
2. ত্বক নরম, পাতলা ভেজা ও গ্রন্থিযুক্ত ।
3. শীতল রক্তের প্রাণী।
4. পানিতে ডিম পাড়ে।

• উদাহরণ: সোনাব্যাঙ, কুনোব্যাঙ

5️⃣ সরীসৃপ (Reptilia)

1. বুকে ভর করে চলে।
2. চারপায়ে পাঁচটি করে নখরযুক্ত আঙ্গুল আছে।

• উদাহরণ: টিকটিকি, কুমির, সাপ, গুইসাপ

6️⃣ পক্ষীকূল (Aves)

1. দেহ পালক দ্বারা আবৃত।
2. দুটি ডানা, দুটি পা ও একটি চঞ্চু আছে।
3. ফুসফুসের সাথে বায়ুথলি থাকায় এরা সহজে উড়তে পারে ।
4. উষ্ণ রক্তের প্রাণী |

• উদাহরণ: _কাক, দোয়েল, হাঁস _

7️⃣ স্তন্যপায়ী (Mammalia)

১. দেহ লোমে আবৃত থাকে। ২. ব্যতিক্রমি স্তন্যপায়ী প্রাণী ছাড়া এরা সবাই সন্তান প্রসব করে। ৩. শিশুরা মাতৃ দুগ্ধ পান করে।

• উদাহরণ: মানুষ, উট, বাঘ